মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) কাশিপুর ইউনিয়নের খিলমার্কেট এলাকায় নিজ বাসা থেকে শ্যামলকে গ্রেফতার করা হয়।
ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
মামলায় বলা হয়, নিজেদের বাড়ির কাছেই আরেকটি বাড়িতে আরবি পড়ে ১৪ বছর বয়সী ভুক্তভোগী ওই কিশোরী। সেখানে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই তুর্জ (১৯) নামে এক তরুণ তার পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন ও নানাভাবে উত্যক্ত করতেন। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে ওই কিশোরীর বাবা-মা কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামলের কাছে তুর্জের বিচার দাবি করেন। কিন্তু শ্যামল উল্টো কিশোরীর বাবা-মাকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান।
এরই মাঝে গত রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে আরবি পড়তে যাওয়ার পথে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক রাস্তা থেকে নিজেদের ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন। পরবর্তী সময়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন তুর্জ।
এদিকে ওই কিশোরী যথাসময়ে বাসায় না ফেরায় তার বাবা-মা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে মেয়ের খোঁজে রাত ৯টার দিকে তারা তুর্জের বাড়িতে যান। সেসময় তারা তুর্জের বাসা থেকে একে একে তার ২/৩ সহযোগীকে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় ওই বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় যুবলীগ নেতা শ্যামল বিচার করার কথা বলে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-মাকে দীর্ঘসময় তার কার্যালয়ে বসিয়ে রাখেন। এরই মধ্যে তুর্জ পালিয়ে যান। বিষয়টি বুঝতে পেরে পরবর্তী সময়ে কিশোরীর বাবা-মা থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, ধর্ষনে অভিযুক্ত তুর্জ ও তার অপর সহযোগীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এমআরপি/এইচজে