মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়শ’ বাসায় এসব বর্জ্য সংগ্রহের সরঞ্জাম দেওয়া শুরু হয়েছে। এদিন এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, মেয়রপত্নী সামা হক চৌধুরী, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার প্রধান মো. হানিফুর রহমান।
সিসিক মেয়র বলেন, সিলেট নগরী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি বিশেষ এ পরীক্ষামূলক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। চলমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে নতুন এ প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
মেয়র বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাসাবাড়িতে উৎপাদিত বর্জ্য সংগ্রহ করা এবং সংগৃহিত বর্জ্য ডাম্পিং গ্রাউন্ডে সরিয়ে নিতে বাড়ি বাড়ি আলাদা আলাদা বর্জ্য সংগ্রাহক সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পে সুফল পাওয়া গেলে পরবর্তীকালে পুরো নগরীতে এর বাস্তবায়ন করা হবে।
সিসিকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার প্রধান মো. হানিফুর রহমান বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ৬শ’ বাসাবাড়িতে পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পের বর্জ্য সংগ্রাহক সরঞ্জাম দেওয়া হবে। একটি করে লাল ও নীল প্লাস্টিকের বালতি এবং একটি প্লাস্টিক ব্যাগ দেওয়া হবে।
তিনি জানান, লাল বালতিতে বাসাবাড়িতে উৎপাদিত অপচনশীল দ্রব্য যেমন ভাঙা প্লাস্টিক বা কাঁচ জাতীয় জিনিস, ওষুধের খোসা, সিরিঞ্জ ইত্যাদি এবং নীল বালতিতে ঘরে উৎপাদিত সব পচনশীল বর্জ্য এবং ব্যাগে প্লাস্টিক-পলিথিন ইত্যাদি আলাদা আলাদাভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মীরা প্রতিদিন পচনশীল বর্জ্য অর্থাৎ নীল বালতি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করবেন। এছাড়া লাল বালতি এবং প্লাস্টিক ব্যাগে সংগৃহীত বর্জ্য প্রয়োজন অনুযায়ী সংগ্রহ করবে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
পরীক্ষামূলক এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাসা-বাড়িতে উৎপাদিত বর্জ্য বাছাই, দ্রুত অপসারণ ও পরিবেশ দূষণ কমাতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এনইউ/এফএম