সাক্ষাৎকালে তারা সংসদীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাতের সময় স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ সময় স্পিকার ২০১৭ সালের নেপাল সফরে সে দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের সাথে সাক্ষাতের স্মৃতিচারণ করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জিডিপি এখন ৮.১ শতাংশ। বর্তমান সরকার সুষম উন্নয়ন সুবিধা তৃণমূলে পৌঁছে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও দু’দেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সফরের মাধ্যমে সংসদ ও সংসদ-সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। স্পিকার মুজিববর্ষ উদযাপন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন এবং নেপালের স্পিকারকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এ সময় রাষ্ট্রদূত নেপালের সংসদীয় গণতন্ত্রে উত্তরণ ইতিহাস স্পিকারকে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকতার প্রশংসা করে বলেন, বাংলদেশের উন্নয়ন অনুসরণযোগ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্থিতিশীল রাজনীতির জন্যই অভূতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে ।
নেপাল সংসদীয় গণতন্ত্রের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে। ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে নেপাল সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি স্পিকারকে অবহিত করেন।
বংশিধর মিশ্র বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এ সময় সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এসকে/এজে