বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) যা ছিলো ৮ দশমিক ৫ ডিগি সেলসিয়াস।
এদিকে উত্তরের এ জনপদের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় দু’দিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ার পাশাপাশি ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে খুব বেশি। দিনেও ঘন কুয়াশা থাকায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
অন্যদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন ছিন্নমূল মানুষেরা। শীতের প্রকোপে চরাঞ্চলে বাড়ছে ভোগান্তি।
শীতবস্ত্র হিসেবে গরিব মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হলেও শীতের পোশাকের অভাবে কষ্ট ভোগ করছেন শীতার্তরা। সরকারিভাবে কম্বল বরাদ্দ পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখার তথ্যানুযায়ী, সরকারিভাবে জেলায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শীতের পোশাকের জন্য শিশুদের তিন লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা দিয়ে প্রায় দেড় হাজার শীতের পোশাক ক্রয় করে বিতরণ চলমান রয়েছে। এসব বরাদ্দের পাশাপাশি শিশু খাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে জানান, আবারো নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেওয়ায় সোমবার বিকেল থেকেই কুড়িগ্রাম অঞ্চলের তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। বুধবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এফইএস/জেডএস