ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কে ঘৃতাহুতি হয়েছে। থালাইভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
কয়েকদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অভিনেতা-রাজনীতিক রজনীকান্ত। তামিল পত্রিকা ‘তুঘলক’-এর অনুষ্ঠান ছিল সেটি। সেখানে গিয়ে বিতর্কিত এক মন্তব্য করেন ‘থালাইভা’খ্যাত এই মহাতারকা। তিনি বলেন, ‘তুঘলক’ বরাবরই সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। ১৯৭১ সালে ই ভি রামসে পেরিয়ার তামিলনাড়ুতে একটি পদযাত্রা করেছিলেন। সেই পদযাত্রায় রাম-সীতার নগ্ন ছবি নিয়ে হেঁটেছিলেন তিনি। সেই খবর একমাত্র ‘তুঘলক’ কভার করেছিল।
এরপরই বিতর্ক শুরু হয় রজনীকান্তকে নিয়ে। সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বলতে শুরু করেন, পেরিয়ারকে ‘অপমান’ করেছেন রজনীকান্ত। তাই তাকে সবার সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। কেউ কেউ আবার ‘ভগবান রামকে অপমান করা হয়েছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন। তবে তাদেরও দাবি, থালাইভার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এই ঘটনার পর অনেক জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। রজনীকান্তের কুশপুতুল পুড়িয়ে তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু বেঁকে বসেন অভিনেতা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ক্ষমা চাওয়ার মতো কাজ তিনি করেননি। তাই কোনওভাবেই তিনি ক্ষমা চাইবেন না।
নিজের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে রজনীকান্ত বলেন, ‘১৯৭১ সালে যা হয়েছিল, তা নিয়েই আমি বলেছি। আর আমার সেই কথাকে ইস্যু করা হয়েছে। আমি যা বলেছি, তা তুলে নেওয়ার প্রশ্নই নেই। সবাই বলছে, আমি আমার কথা তুলে নিই। কিন্তু আমি তা করব না। কোনওভাবেই ক্ষমা চাইব না আমি। যা বলেছি, তার উপযুক্ত প্রমাণ আমার হাতে রয়েছে। চাইলে আমি ম্যাগাজিন দেখাতে পারি। আমি যা দেখেছি, তাই বলেছি। ওরা যা দেখেছেন, তা ওরা বলছেন। ’
তবে শুধু নেটিজেনরা নয়, রজনীকান্তের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন একাধিক সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দ্রাবিড়ার বিদুথুলাই কাঝাগমের (ডিভিকে) মতো রাজনৈতিক সংগঠন এই অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে। তাদেরও দাবি, রজনীকান্তের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু নিজের মন্তব্যে অনড় ‘থালাইভা’।
বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এমকেআর