বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ রেজা মো. আলমগীর হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার রশিক নগর এলাকায় যৌতুক না পেয়ে নিজ ঘরে কহিনুর বেগমের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন স্বামী শাহ আলম। টানা ২৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর কহিনুরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত কহিনুরের ছোট ভাই আলম মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের তিন মাস পর পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ঘটনার পর থেকে আট বছর পলাতক থাকার পর ২০১৭ সালের ১০ জুন আসামিকে আটক করা হয়।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রায় ১১ বছর পর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশন করেছে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশলী অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো।
এ নিয়ে চলতি বছর আদালতের দেওয়া এটি তৃতীয় রায়। গত ২০ জানুয়ারি স্ত্রীকে পাচার করার অভিযোগে কমল বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
এর আগে ৯ জানুয়ারি শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এডি/এএটি