ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে: শেখ হাসিনা 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে: শেখ হাসিনা 

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আইনের সংস্কার ও যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এ লক্ষ্যে আইনের সংস্কার ও যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি)  মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্ব করন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার সুনিশ্চিত করা আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য। একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।  

‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মাঝে এই উপলব্ধি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে যে, সব নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং কোনো অপরাধীই অপরাধ করে পার পাবে না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে এ দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও কলঙ্কিত দিন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার যেসব খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে বা আশ্রয় গ্রহণ করেছে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ’ 

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান সাফল্য হলো-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করা। বর্তমান সময়ে মাদক সমস্যা সমাজের একটি বিষফোঁড়া। সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। মাদক সংক্রান্ত মামলাসমূহের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ প্রণয়ন করেছি।  

‘মাদকের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতেও বর্তমানে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত অপরাধ বিচারের লক্ষ্যে ৯৫টি নারী ও শিশু নির্যতন দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধসমূহের যে দ্রুত বিচার সম্পন্ন হচ্ছে তার প্রমাণ চাঞ্চল্যকর ফেনীর নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলা। মাত্র ৬২ কার্যদিবসে এ মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। ’ 
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিতকল্পে বিচার কাজে গতিশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ মেয়াদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৬ জন ও হাইকোর্ট বিভাগে ৩৭ জন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছে এবং অধস্তন আদালতে ৬৭১ জন সহকারী জজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  

এছাড়া ১০০ জন সহকারী জজ নিয়োগের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জান প্রধানমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারে যেমন বহুমাত্রিক অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি প্রযুক্তি ব্যবহার করেই অপরাধীদের আইনের জালে ফেলা হচ্ছে। সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সঠিক বিচারের নিশ্চয়তা প্রদান করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  

‘ধনী, গরীব নির্বিশেষে সবার জন্য সমতার ভিত্তিতে সুবিচার নিশ্চিত করা এবং বিচার ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধন করে সামাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এসকে/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।