একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে নিহত ছাত্রীর স্বামী সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে রবরব পরিবহনের একটি গাড়ি থেকে আমি এবং আমার স্ত্রী নাজনীন আক্তার ঋতু নামার সময় চালক দ্রুত গতিতে বাস চালিয়ে চলে যায়।
‘এতে আমি নামতে পারলেও আমার স্ত্রী বাসের দরজা থেকে রাস্তায় পড়ে যাযন। পথচারীদের সহায়তায় তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থেকে গত ২ জানুয়ারি সকালে তিনি মারা যান। ’
তিনি জানান, এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় ৩১ ডিসেম্বর পরিবহন কোম্পানি ও গাড়ির চালক এবং হেলপারের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ।
ঋতুর স্বামী সাইফুল বলেন, আমি চাই ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে চালকের অবহেলায় কোনো যাত্রীর মৃত্যু যেন না হয়। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানাই।
মানববন্ধনে নিহত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যসহ স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
টিএম/এমএ