মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাতে এসআই সামিউলকে বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি প্রায় লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে এসআই সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (শাহজাদপুর সার্কেল) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর পোরজনা গ্রামের মৃত দরদ আলী শেখের ছেলে গরু ব্যবসায়ী আজাদ সেখ।
অভিযোগে আজাদ শেখ উল্লেখ করেন, গত ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার চতুরহাটে গরু বিক্রি করে ভটভটিযোগে ফেরার পথে করতোয়া সেতুর পূর্বপাশে এসআই সামিউল তাদের পথরোধ করে বিভিন্ন উদ্ভট প্রশ্ন করতে থাকেন। গরু ব্যবসার বৈধ কাগজপত্র দেখানোর পরও জোরপূর্বক গরু ব্যবসায়ী আজাদ ও ভটভটি চালক স্বপনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান তিনি। সেখানে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে থাকা গরু বিক্রির ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের হাজত খানায় আটকে রাখেন। রাত ৩টার দিকে ৯৩ হাজার টাকা রেখে বাকী টাকা ফেরত দেন এবং কাগজে টিপসহি নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ১৭ জানুয়ারি এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আজাদ সেখ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এসএইচ