দুই দিনের সফরের প্রথম দিনে তিনি চার কৃষকের খাদ্য নিরাপত্তায় সৃষ্ট খামার পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি থাইল্যান্ড ঘুরে আসা কৃষক আউশনারা ইউনিয়নের বেলচুঙ্গি গ্রামের আজিজ মিয়া, গোপিনাথপুরের শামসুল, মতিয়ার ও আহাম্মদের বাড়ি কেন্দ্রিক খামার পরিদর্শন ও কৃষক পর্যায়ে আলোচনা করেছেন রাষ্ট্রদূত ও তার দেশের বিশেষজ্ঞ একটি দল।
বিএডিসি মধুপুরের উপ পরিচালক (খামার) সঞ্জয় রায় জানান, বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পাঁচ কৃষক থাইল্যান্ডে গিয়ে ছিলেন সেই দেশের কৃষি ও কৃষক জীবনের অভিজ্ঞতা নিতে। থাইল্যান্ডের খরচে সে দেশের আমন্ত্রণে ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ১৫ দিনের সফরে গিয়েছিলেন তারা। বিএডিসির মাধ্যমে সুযোগ পাওয়া পাঁচ কৃষকের মধ্যে সর্বশেষ নির্বাচিত চার কৃষক দেশে ফিরে রাণীর আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে কৃষি ও কৃষক জীবনমানের উন্নয়নে কাজ শুরু করেন। নিজ বাড়িতেই হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, মৎস্য আর স্বল্প জমিতে শাক সবজি, মাশরুম চাষ করে খাদ্য নিরাপত্তা তৈরি সংক্রান্ত প্রকল্পের প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা দেশে ফিরে কাজ করছেন।
রাণীর আর্থিক সহায়তার ওই প্রকল্পের চাষ-বাস ও উৎপাদনে উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন এমনটিই জানিয়েছেন টিম লিডার কৃষক আজিজ মিয়া।
তার ভাষ্যমতে, বিদেশি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের এমন চাষ-বাস এলাকায় শুধু নিজেরাই নয় অন্যদের মধ্যেও উৎসাহ যোগাতে পেরেছেন। তাদের খোঁজ খবর নিতে ও তাদের সঙ্গে আলাপ করতে রাষ্ট্রদূত দুই দিনের সফরে মধুপুর এসেছেন।
কৃষক আজিজ মিয়া ও শামসুল হক জানান, কৃষি বিষয়ে পরামর্শ দিতে এসে রাষ্ট্রদূত তাদের বিভিন্ন সবজি বীজসহ বেশ কিছু উপহার দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বেলচুঙ্গি গ্রামের আবদুল আজিজজের বাড়িতে কৃষকদের মধ্যে মাশরুম চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
আরএ