তিনি এও বলেন, এটা নির্বাচন বানচালেরও একটি ইঙ্গিত। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা আমু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রচারণা করার কোনো শিডিউল কর্মসূচি ছিল না। এ ধরনের কোনো শিডিউল বা প্রোগ্রাম আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে আগে জানানো হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বক্তব্যে এটা পরিষ্কার। বিএনপির এটা একটা সুপরিকল্পিত ঘটনা। এটা আগামী নির্বাচন বানচালেরও একটি ইঙ্গিত।
আওয়ামী লীগ নেতা আমু বলেন, তারা (বিএনপি) গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসবে, গণতান্ত্রিক ধারা সুষ্ঠুভাবে চলবে এটাই আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু নির্বাচনী প্রচারণায় তারা শুরু থেকেই স্বপ্নে দেখা শুরু করলো যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, অবাধ হবে না, নিরপেক্ষ হবে না।
‘তারা বলা শুরু করলো- সন্ত্রাসী কার্যকলাপ হতে পারে। তারা চ্যালেঞ্জ দেওয়ারও ঘোষণা দিল, তারা শেষ পর্যন্ত দেখে নেবে। এই সমস্ত কথাবার্তার মধ্য দিয়েই আমরা একটু আঁচ করতে পারছিলাম যে, তারা আসলে নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না, নির্বাচন বানচাল করবে। ’
তিনি বলেন, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লক্ষ্য করলাম, সারাদেশে তাদের বিএনপি-জামায়াতের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনীকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমবেত করা হচ্ছে। তখন আমাদের সন্দেহ আরও প্রকট আকার ধারণা করেছিল। আজকে তারই একটি বহিঃপ্রকাশ, দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম।
আওয়ামী লীগ আমির হোসেন আমু বলেন, আজকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে এবং আমাদের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের প্রায় ৫০জন আহত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবু আহম্মেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এসকে/এমএ