পুলিশের দাবি, নিহত আনোয়ার আন্তঃজেলা ডাকাত ও তার নামে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এর আগে সোমবার (২৮ জানুয়ারি) রাত পৌনে ৩টার দিকে বীরকোর্ট এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক লোকেন মহাজন ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউছুফকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি ডাকাতি, সিঁধেল চুরি, অস্ত্র ও রাতে তার দল ডাকাতি করবে বলে স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত পৌনে ৩টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলের সহযোগিতায় বীরকোর্ট এলাকায় অভিযান চালায় সেনবাগ থানা পুলিশ।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত ইউছুফের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউছুফ পুলিশের কাছ থেকে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তার অজ্ঞাতপরিচয় সহযোগীর গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় তিনি। পরে ইউছুফকে দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নিহত ইউছুফ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় ডাকাতির ঘটনায় ৭টি, ডাকাতি প্রস্তুতির ঘটনায় ৩টি, সিঁধেল চুরির ঘটনায় ১টি ও অস্ত্র আইনে ১টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি, চারটি তাজা কার্তুজ, সাত রাউন্ড গুলির খোসা, তিনটি রামদা, একটি টর্চ লাইট ও একটি গ্যাস লাইটার উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এএটি