মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মতিহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) শেষ রাতের কোনো এক সময় এই ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি নিজেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ওই গ্যারেজে কাজ নেওয়ার সুবাদে কিছুদিন থেকে রাতে তিনি একাই সেখানে ঘুমাতেন।
সোমবার রাতে তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। এরপরও তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে অন্য কিছু পাওয়া গেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কারণ হিসেবে ওসি বলেন, সুজন আলী হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। কিছুদিন আগে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। তিন সন্তান নিয়ে তিনি হিমশিম খাচ্ছিলেন। নানান কারণে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছেন। এই হতাশার জায়গা থেকে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে, অন্য কেউ কোনো উদ্দেশে তাকে হত্যা করেছে কিনা সেই বিষয়টি নিশ্চত হতে নিহতের মরদহে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। আপাতত এই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এসএস/এএটি