এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে স্থানীয় মিলন বাহিনীর প্রধান সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের নেতৃত্বে একদল যুবক মামলা তুলে নিতে বাদীকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার পিপলিতা গ্রামের রেহেনা বেগম এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেহেনা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. ইব্রাহিম।
সৈয়দ মিলন চাঁদাবাজী ও অস্ত্র মামলাসহ চারটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকলেও পিপলিতা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম খান বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে রেহেনা বেগমের স্বামী আবদুল খালেক ডাকুয়া ও তার মেয়ে সুমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, চাঁদা না দেওয়ায় সদর উপজেলার পিপলিতা বাজারে ১১ জানুয়ারি (শনিবার) দুপুরে জাহাঙ্গীর আলম খানের ভাড়াটে সন্ত্রাসী সৈয়দ মিলনের নেতৃত্বে একদল যুবক কৃষকলীগ নেতা খালেক ডাকুয়ার দু’টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে। এতে বাধা দিতে গেলে খালেকের স্ত্রী রেহানা বেগম হামলাকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন। এসময় তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকারও ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
হামলাকারীরা কৃষকলীগ নেতার স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে বাজারে তাদের ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা তুলে নিতে সন্ত্রাসীরা বাদী রেহেনা বেগম ও তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি হামলাকারীরা উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বিরুদ্ধে ঢাকায় অনশন ও বরিশালে সংবাদ সম্মেলন করে হয়রানি করছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এমএস/এবি