বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন জানান, গত ২৪ জানুয়ারি রাত পৌনে ২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত নলছিটি উপজেলার তেওলা গ্রামের মামুন হোসেনের ঘরের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার, পাখি মারার এয়ারগানসহ ৬ লাখের বেশি টাকার মালামাল লুট করে নেয়।
এ ঘটনায় মামুন হোসেন বাদী হয়ে নলছিটি থানায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এমএম মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন, ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম, এসআই হুমায়ুন কবীর ফোর্স নিয়ে অভিযানে নামে। এসময় ৫ ডাকাত সদস্যকে আটক করা হয়। এখনো ২ জনকে আটকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আটকরা হলেন- বাকেরগঞ্জ উপজেলার বিহারীপুর গ্রামের শহিদ খান (৩৭), গাইবান্দার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হালিমারচর গ্রামের এনাম হোসেন মিয়া (৩০), পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠি (ধুলিয়া) গ্রামের অরুণ দাস (৩৮), নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা গ্রামের মো. পিন্টু হাওলাদার (৩০) ও একই উপজেলার খেজুরিয়া গ্রামের মো. ইমরান হোসেন (২৮)।
আটকের সময় এদের কাছ থেকে একটি এয়ারগান, ১২ আনা ওজনের ২ জোড়া স্বর্ণের কানবালা, ২টি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, আটক সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে।
এদিকে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে আসামিদের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
এমএস/এইচএডি/