খুলনার রত্না খাতুন আজ জীবনের শেষপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। তার দুচোখে মুঠো মুঠো স্বপ্নের বদলে শুধুই মৃত্যুর বিভীষিকা।
তার মধ্যে এখন বেঁচে থাকার তীব্র আকুতি। স্বামী কিংবা স্বজনদের সামর্থ্য নেই এত অর্থ ব্যয় করে তাকে বাঁচিয়ে রাখার। তারপরও তার পরিবারের চেষ্টার কমতি নেই। তারা রত্নাকে ভারতের নিয়ে যেতে চান চিকিৎসার জন্য। তবে তারা পারছেন না আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে। নিরূপায় হয়ে রত্নাকে বাঁচাতে সমাজের সবার সহযোগিতা চেয়েছেন তার স্বামী শহিদুল ইসলাম। তিনি খালিশপুর জুট মিলের একজন অস্থায়ী শ্রমিক। রত্না খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের বিআইডিসি রোডের একটি গলিতে বাসা ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলায়।
রত্না খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৯ সালের মে মাসে অসুস্থ হয়ে পড়লে আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে দেখালে সেখানে কিডনি বিশেষজ্ঞ ড. এনামুল কবীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন আমার দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। সেই থেকে ডায়ালাসিস করে বেঁচে আছি। স্বামী যখন টাকা জোগাড় করতে পারেন তখন ডায়ালাসিস করা হয়। না পারলে আর করা হয় না। দিন দিন আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
রত্নার স্বামী বলেন, আমার সহায় সম্বল বলে তেমন কিছু নেই। আমি একটি জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করি। স্ত্রীর দুই কিডনি নষ্ট হয়ে সে এখন মৃত্যুশয্যায়। একটি মাত্র মেয়ে, বয়স ৯ বছর। সে অটিজমে আক্রান্ত। এই মুহূর্তে আমার পক্ষে স্ত্রীর চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। ঠিক মতো খাবার কিনতে পারি না সেখানে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবো কীভাবে বলে কেঁদে ফেলেন তিনি। স্ত্রীকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তি ও প্রবাসীদের সাহায্য কামনা করেছে শহিদুল ইসলাম।
রত্নাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: রত্না খাতুন, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, চুয়াডাঙ্গা শাখা। হিসাব নম্বর- ০১১৩১২৭০০০০০০৭১। যোগাযোগের নম্বর- ০১৭৯৯০৫৪৫৩৪।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/