বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্রর আয়োজনে ‘তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহারে করণীয়’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র’র চেয়ারপারসন আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন আখতার, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, এনজিও ব্যুরোর প্রকল্প পরিচালক গকুল কৃষ্ণ ঘোষ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, গাজী টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা ও দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ব্রিটিশ-আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি থেকে সরকারের নয় দশমিক ৪৯ শতাংশ শেয়ার প্রত্যাহার করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার অঙ্গীকার ও তামাক কোম্পানিতে সরকারের অংশীদারিত্ব বিষয়টি সাংঘর্ষিক। তামাকের মতো ক্ষতিকর ব্যবসায় অংশীদার থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে অবিলম্বে তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে সব পরিবর্তন সম্ভব হবে না, কেউ চাইলেই সিগারেট ছাড়তে পারবে না। আবার তামাক চাষও বন্ধ করা যাবে না। এজন্য তামাকচাষীদের বিকল্প চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে তামাক বিরোধী জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর প্রচারাভিযান চালাতে হবে।
সংলাপে অন্য বক্তারা বলেন, তামাক অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। অসংক্রামক রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে পাঁচ লাখ ৭২ হাজার মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে শুধু তামাকজনিত রোগের কারণে মারা যায় এক লাখ ২৬ হাজার। তাই এ খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে সুপ্র জেলা কমিটির সদস্যরা ছাড়াও সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
ইএআর/এবি