কিন্তু শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত রংপুর বিভাগের একমাত্র ব্যস্ততম সৈয়দপুর বিমানবন্দরে স্থাপন করা হয়নি কোন বুথ। অথচ ওই বিমানবন্দর ব্যবহার করছেন দেশি-বিদেশি ১ হাজার ৫০০’র বেশি যাত্রী।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রতিদিন ১১টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। এসবে পরিবহন হচ্ছে কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ জন যাত্রী। বিপুল সংখ্যক বিদেশি যাত্রীও ব্যবহার করে থাকেন সৈয়দপুরের আকাশ পথ। এ এলাকায় উত্তরা ইপিজেড, বড় পুকুরিয়া কয়লাখনি ও কয়েকটি স্থাপনায় প্রায় দুই হাজার চীনা নাগরিক কাজ করেন।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. শেখ নজরুল ইসলাম জানান, সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ মাধ্যম হলেও ওই মাধ্যমে প্রচুর বিদেশি নাগরিক আসা-যাওয়া করেন। আশপাশের স্থলবন্দর থেকে আসা বিদেশি যাত্রীরা ব্যবহার করেন সৈয়দপুর বিমানবন্দর।
সৈয়দপুর তথা এ অঞ্চল থেকেও প্রচুর শিক্ষার্থী চীনে লেখাপড়া করছেন। এখানকার ব্যবসায়ীরাও ব্যবসার কাজে চীনে যাতায়াত করেন। তাদের কেউ কেউ করোনা ভাইরাস বহন করছেন কিনা, তা নির্ণয়ের সুযোগ নেই সৈয়দপুর বিমানবন্দরে। তিনি দ্রুত বিমানবন্দরে বুথ স্থাপনের দাবি জানান।
সৈয়দপুরের শিল্পপতি সিদ্দিকুল আলম করোনা ভাইরাস আতঙ্কে সম্প্রতি চীন যাত্রা বাতিল করেছেন। ভাইরাসটি ভয়াবহ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি দ্রুত বিশ্ব দুর্যোগ হয়ে ওঠছে। কাজেই আমাদেরও সতর্ক হতে হবে। তিনিও সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ভাইরাস শনাক্তে বুথ স্থাপন জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সুশান্ত দত্তের সঙ্গে বললে তিনি জানান, আমরা এখনও উপরের নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে সেই মোতাবেক কাজ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এসএইচ