প্রতিদিন এ কেন্দ্রে বাংলাদেশে প্রবেশকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল মোমেন।
ক্যাম্পটি পরিদর্শন শেষে সিভিল সার্জন জানান, জাতীয় রোগতত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের আওতায় এ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রমের সময়কাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।
আবদুল মোমেন জানান, স্থলবন্দর দিয়ে গমনকারী কোনো ব্যক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া গেলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যবেক্ষণের জন্য রাখা হবে। এছাড়া পরবর্তীতে যেকোনো প্রয়োজনে প্রবেশকারীদের সবার যোগাযোগের নম্বর ও ঠিকানা সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস শনাক্তে ক্যাম্পে প্রতিদিন একজন করে হেলথ ইন্সপেক্টর ও কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার অবস্থান করছেন। শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য সহকারী তাজুল ইসলাম ও কম্পাউন্ডার মুন্সী সাইফুদ্দিন এবং রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য সহকারী রফিকুল ইসলাম ও আব্বাস উদ্দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সহকারী হেলথ ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন ও কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার মহিউদ্দিন, মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সহকারী হেলথ ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম ও জুনিয়র মেকানিক আবদুল মালেক এবং বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি ) স্বাস্থ্য সহকারী ফেরদৌস আরা ও আব্বাস উদ্দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
ক্যাম্পেইনে দায়িত্বপালনকারী কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার মো. মহসিন জানান, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) আমরা ২০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। শনিবার বিকেল পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল খালেক জানান, প্রতিবেশী দেশ ভারতের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস যেন আমাদের দেশে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় এ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এসএইচডি/আরবি/