রোববার (২ ফ্রেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৪ বিজিবি পত্নীতলা ব্যাটালিয়নের অধীনে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন বিওপির বাংলাদেশ অভ্যন্তরে মেইন পিলার ২৫৬ এর সাব পিলার ৯ এর কমরইল গ্রামের উত্তর মাঠে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।
সকালে মিলনমেলার উদ্বোধন করেন আগ্রাদ্বিগুন বিওপির কোম্পানি কমান্ডার মো. নুরুল আমিন।
মেলায় বিএসএফ তাদের কাঁটাতারের দরজা খুলে দেয়। ভারতের হাজার হাজার মানুষ তাদের নাগরিকত্ব আধার কার্ড দেখিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। মিলনমেলায় দুই বাংলার কয়েক জেলার লোকজনের সমাগম ঘটে। বিশেষ করে নওগাঁ, জয়পুরহাট, বগুড়া ও রাজশাহী জেলার হাজার হাজার মানুষ মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, ভটভটি ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে আসেন আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে। ভারতের লোকজন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারলেও বাংলার কোনো লোক ভারতে প্রবেশ করতে পারেনি।
ভারতের গঙ্গারামপুরের সাহারা বানু বলেন, নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর নান্দাস গ্রামের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে অনেকদিন পর মিলিত হতে পেয়ে আমরা খুব খুশি।
জয়পুরহাটের মঙ্গলবাড়ী গ্রামের অনিতা বর্মণ বলেন, সীমান্ত খুলে দেওয়ায় অনেকদিন পর কাকা-কাকীদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত হলো।
দুই বাংলার লোকজন তাদের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের সময় বিভিন্ন ধরনের উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হাসান সরদারের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
আরএ