শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগ থানা পুলিশ হাইকোর্ট ও কদম ফোয়ারা সংলগ্ন ফুটপাত থেকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
শাহবাগ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় হাইকোর্ট ও কদম ফোয়ারা সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। পরে সংবাদ পেয়ে মৃত নারীর ভাই এসে তার মরদেহ শনাক্ত করেন।
তিনি জানান, মরদেহের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম ও আঁচড়ের দাগ আছে। এছাড়া তার ডান পায়ের উরু থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত পুরনো ব্যান্ডেজ করা।
মৃত নারীর ভাইয়ের বরাত দিয়ে উপ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, মৃত নারীর বাড়ি বরিশাল। তিনি তিন-চার বছর মানসিক রোগে ভুগছিলেন। এর আগে বিয়ে হলেও ছয় মাস পর তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। গত ২৩ জানুয়রি মৃত নারী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। এরপর তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিলোনা। পরে পুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন তার ভাই।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডাক্তার প্রদীপ বিশ্বাস বাংলানিউজকে জানান, মৃত নারীর পায়ের আঘাত থেকে ধারণা করা হচ্ছে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম থেকে তাকে আঘাত করার বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে। মৃত্যুর আগে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন, ময়নাতদন্তে এর প্রাথমিক আলামত পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, পরীক্ষার জন্য মরদেহ থেকে রক্ত, ডিএনএ ও ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রতিবেদন পেলে ওই নারীর মৃত্যুর যথার্থ কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জখমের রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
এজেডএস/এবি