রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর চৌদ্দপাই এলাকার বিহাস কমিউনিটি সেন্টারে নিজের ৮২তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জন্মদিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহীর কবিকুঞ্জ নামের সাংস্কৃতিক সংগঠন।
তিনি আরও বলেন, মানুষের জন্ম হয়। কেউ ঠিকরে পড়ে আবার কেউ মাটি ধরে দাঁড়ায়। এভাবেই তো মানুষের জীবন চলে। জন্ম মানুষের অসম্ভব সাধারণ একটি ব্যাপার। আমারও ঠিক সেরকমই মনে হয়। কোথায় কিভাবে জন্মগ্রহণ করেছি, শেষ কবে মায়ের কোলে বসেছি এখন আর মনে পড়ে না। এখন এগিয়ে পড়েছি জীবনের রাস্তায়। অনেকটা দূর চলে এসেছি। মাঝে মাঝে মনে হয় অযথা দীর্ঘসময় মানুষের বাঁচার প্রয়োজন নেই। সেজন্য যেদিন আমি আর কোনো কাজে আসব না সেদিন যেন আমি উপস্থিত না থাকি সেটাই চাইব।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। পরে জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকসহ উপস্থিত অতিথিরা।
কবিকুঞ্জের সভাপতি অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক সাইদুর রহমান খাঁন, সমাজসেবী শাহিন আক্তার রেনি, কবি জুলফিকার মতিন, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক কুমার।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০
আরএ