মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের আলীমগঞ্জ এলাকায় মৎস্যজীবী সমিতি ও এলকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে জানানো হয়, গত ৩১ জানুয়ারি পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোদাগাড়ী উপজেলার খরচাকা-গহমাবোনা সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে ৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বিএসএফ।
অপহৃত্রা হলেন- রাজন হোসেন (২৫), সোহেল রানা (২৭), কাবিল হোসেন (২৫), শাহীন আলী (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩০)। তাদের সবার বাড়ি পবার গহমাবোনা গ্রামে।
৮ মাসের শিশু কোলে করেই মানববন্ধনে অংশ নেন অপহৃত জেলে শাহিনের স্ত্রী বীথি খাতুন। স্বামির মুক্তি দাবি করে এ নারী বাংলানিউজকে জানান, পরিবারের আয়-রোজগারের একমাত্র উৎস তার স্বামী শাহিন। প্রতিদিনের মতো গত ৩১ জানুয়ারি শাহিন বাড়ির পাশে পদ্মা নদীতে মাছ ধরছিলেন। সে সময় স্পিড বোটে বিএসএফের কয়েক সদস্য বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। শাহিন এখন কী অবস্থায় আছেন তাও জানেন না বীথি।
বীথির মতোই আড়াই বছরের শিশু কোলে করে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অপহৃত জেলে কাবিল হোসেনের স্ত্রী সমিরা খাতুন কান্না জড়ানো গলায় বলেন, আমার ছেলে বাবা কই, বাবা কবে আসবে, এসব বলতে বলতে সারাক্ষণ কান্না করতেছে। আমার স্বামী সংসার চালাতে ঋণ করে রাখছে। মাছ ধরেই সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করি আমরা। কিন্তু পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় বিএসএফ তাকেও ধরে নিয়ে গেছে। এখন আমি অসহায় হয়ে দিন পার করতেছি। দ্রুত আমার স্বামীর মুক্তি চাই।
অপহৃত আরেক জেলে শফিকুল ইসলামের মা আরজেমা বেগম জানান, পদ্মায় মাছ মারতে গেলে তার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। বাংলাদেশের ভেতর থেকেই তাকে ধরে নিয়ে গেছে। বিএসএফ তার ছেলেকে নির্যাতন করছে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অপহৃত আরেক জেলে রাজন আলীর মা ফাইমা বেগমও। তিনিও ছেলের আশু মুক্তি দাবি করেন। এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এসএস/এইচজে