ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে:  জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান করতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এ দাবি উপস্থাপন করলে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া এ ব্যাপারে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আসার প্রস্তাব করেন।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আব্দুল মতিন খসরু বলেন, স্বাধীনতার সময় জয়বাংলা বললে শরীরে স্পিড আসতো। আজ জয় বাংলা বলতে অনেকে ভয় পায়, এটা হতে পারে না।

 

‘রাষ্ট্রপতি থেকে পিয়ন পর্যন্ত যারা যার বক্তব্য রাখবো কথার পরে জয় বাংলা অবশ্যই বলবো। তাই আইন করে জয় বাংলা স্লোগানকে জাতীয় স্লোগানের স্বীকৃতি দিয়ে অবশ্যই জয় বাংলা বলবো। অনেক সচিব-আমলারা এখনও জয় বাংলা বলতে ভয় ও লজ্জা পান। এটা হতে পারে না। ’

এসময় স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। মতিন খসরু বক্তব্য শেষ করার পর ডেপুটি স্পিকার বলেন, বিষয়টি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত আসা উচিত জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান। সবাই মিলে এ ব্যাপারে এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। জাতীয় সংসদের সব সদস্য বক্তব্যে শেষে জয় বাংলা বলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই কে জয় বাংলা বললো, কী বলবো না তাতে কিছু যায় আসে না। তাই সিদ্ধান্তে আসা উচিত অন্তত জাতীয় সংসদ সদস্যরা বক্তব্য শেষে জয় বাংলা বলবেন।

রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আলোচনায় মতিন খসরু আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে, আত্মস্বীকৃত কিছু খুনির রায় কার্যকর হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের মূল হোতারা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে, বিচার হয়নি। খুনিদের বিচার না করে যারা (জিয়া ও খালেদা জিয়া) পুরস্কৃত করেছে তারাই মূল মাস্টারমাইন্ড। এদের বিচার করার এখনও সুযোগ রয়েছে।

মতিন খসরু বলেন, আদালতে দ্রুত বিচারের জন্য দ্বিগুণ বিচারক নিয়োগ দিতে হবে। ন্যায়বিচার মানুষের কৃপা নয়, এটা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। রাষ্ট্রকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতে ৩৫ লাখ মামলা আছে। বিচারক রয়েছেন ১৭শ, এই ১৭শ বিচারক দিয়ে আগামী ২০ বছরেও নিষ্পন্ন করা সম্ভব না। একটা মামলা ১০ বছর, ২০ বছর চলবে কেন? এটার সুরাহা করা দরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।