বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় দিনাজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরিফউদ্দীন আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার কাদিমনগর গ্রামের এহিয়া হোসেনের ২ ছেলে জিল্লুর রহমান (২০) ও জুয়েল ইসলাম (২৭), কামাল উদ্দীন (৪৮) ও তার ছেলে মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন (২২) এবং ওয়াজেদ আলীর ছেলে ফেরদৌস আলী।
মামলা থেকে খালাসপ্রাপ্ত চারজন হলেন- ঘোড়াঘাট উপজেলার বলদিয়াপাড়ার তারা মিয়া (৪৫), কাদিমনগর গ্রামের মোছা. অন্তরা (১৯), ফেরদৌস আলীর স্ত্রী নুর বানু (৪৫), এহিয়া হোসেনের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪৮)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর বিকেলে ঘোড়াঘাট কাদিমনগর মন্দিরের সামনে থেকে ওই গ্রামের কেশব রায় সাহার ছেলে শিশু পর্শ সাহা ওরফে পরশকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। মুক্তিপণ ও নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দুর্বৃত্তরা তাকে গলাটিপে হত্যা ও একটি চোখ উঠিয়ে নেয়। পরদিন ১১ নভেম্বর সকালে শিশু পরশের মরদেহ ঘোড়াঘাট কেন্দ্রীয় কবরস্থানের পাশে লালবাবুর আমবাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘোড়াঘাট থানায় নিহত শিশুর বাবা কেশব সাহা বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিসি) মেহবুব হাসান চৌধুরী লিটন ও আসামি পক্ষে পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২০
এসএইচ