ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মহাখালীতে দুর্ঘটনায় নিহত ২ নারী: গাড়ি শনাক্ত করার চেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
মহাখালীতে দুর্ঘটনায় নিহত ২ নারী: গাড়ি শনাক্ত করার চেষ্টা দুর্ঘটনায় নিহত দুই নারীর নিথর দেহ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর মহাখালী সেতুভবনের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুটিতে থাকা দুই নারী নিহত হওয়ার ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গাড়ি শনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে স্কুটিতে থাকা নিহত দুই নারী ছিলেন বান্ধবী।

এ ব্যাপারে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কথা হয় বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম মিয়ার সঙ্গে।

তিনি জানান, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা, এটা প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, অজ্ঞাত কোনো গাড়ির ধাক্কায় ওই দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।

কোনো গাড়ি এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি বের করতে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে মহাখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ওই দুই নারী নিহত হয়। এদের মধ্যে একজনের কাছে থাকা জাতীয়পরিচয়পত্রে জানা গেছে একজনের নাম সৈয়দা কচি (৩৮), তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর পৌরসভার পাচুলিয়ার বাজিতপুর এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত সৈয়দ ফজলুল হকের মেয়ে। নিহত আরেকজন সোনিয়া আক্তার (৩২)। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার মাকবেদুরিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে।

নিহত কচির মামা অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন ভূঁইয়া বাংলানিউজকে জানান, কচি মিরপুর-১ নম্বর এলাকায় থাকেন। রাতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে ফেসবুকে কচির নিউজ ও ছবি দেখে একজন তাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। এরপর ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে এসে কচির মরদেহ শনাক্ত করেন।

নিহত কচির মামা আরও জানান, কচি উত্তরায় পার্ল ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিক মানের কসমেটিকস পণ্য বিপণন ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানের টেরিটরি অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন। বাণিজ্যমেলায়ও তাদের স্টল ছিল। আট বছর ধরে তিনি এই চাকরি করছেন। অবিবাহিতা ছিলেন কচি। দুই বোনের মধ্যে কচি ছোট। বড়বোনের নাম চুমকি। তারা দুইবোন কল্যাণপুরের একটি বাসায় একরুমে ভাড়া থাকতেন। নিজের স্কুটি দিয়েই চলাফেরা করতেন কচি। নিহত অপরজন সোনিয়া তার বান্ধবী। তিনিও চাকরিজীবী। থাকতেন শাহআলী থানার পাশেই। দীর্ঘদিন কচি আর সোনিয়া একসঙ্গেই ভাড়া থেকেছেন। কচিদের গ্রামের বাড়িতেও গিয়েছিলেন সোনিয়া।

তিনি আরও জানান, কচি সকাল ৯টায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যেতেন। আবার রাত ১১টার আগেই বাসায় ফিরতেন। তবে মঙ্গলবার এত রাতে কোথায় যাচ্ছিলেন তারা, তা তিনি জানেন না। আর এত জনবহুল এলাকায় দু্’মেয়ের মরদেহ পড়েছিল, কেউ কিছু বলতে পারছে না, বিষয়টা আমরা বুঝতে পারছি না। সেখানে আশ-পাশে অনেক সিসিটিভি ক্যামেরারও থাকার কথা। কিন্তু পুলিশও কিছু বলতে পারছে না কোনো গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে কিনা।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এজেডএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।