রংপুর: রংপুর টাউন হল বধ্যভূমিতে মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে এসেছে মানুষের হাড়গোড়।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বধ্যভূমিতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য শ্রমিকরা মাটি খুঁড়লে এসব হাড়গোড় দেখতে পান।
গত ১৬ নভেম্বর ওই স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
জানা গেছে, মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এ টাউন হলকে টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করতো। ঐতিহাসিক টাউন হল ও আশপাশের সৌন্দর্য বর্ধনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটি সংরক্ষণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছে রংপুর জেলা প্রশাসন। সোমবার শ্রমিকরা মাটি খুঁড়তে গেলে মানুষের হাড়গোড়, দাঁত পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন ভিড় জমান এবং প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা এলাকাটি পরিদর্শন করেন।
শ্রমিকরা জানান, বধ্যভূমিতে থাকা একটি কুয়ায় মাটি জমে ভরাট হয়ে গেছে। ওই কুয়ার কিছুটা খুঁড়তেই এসব হাড়গোড় দেখা যায়। পুরো কুয়া খুঁড়লে মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া মানুষের আরও হাড়গোড় পাওয়া যেতে পারে।
বধ্যভূমি পরিদর্শনে এসে একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি রংপুর শাখার সভাপতি ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মারক এ টাউন হল বধ্যভূমি। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী টাউন হলে টর্চার সেল করেছিল। মুক্তিকামী বাঙালি, মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ মানুষদের ধরে এনে টর্চার সেলে নির্যাতন ও হত্যা করা হতো। মা-বোনদের ইজ্জত লুটসহ তাদের হত্যা করে ফেলে দেওয়া হতো টাউন হলের পাশের কুয়ায়। এ ইতিহাসের কথা এতোদিন আমরা সবাই বলছিলাম। হায়েনাদের হাতে মারা যাওয়া মানুষের হাড়গোড় মিললো আজ। আমরা মুক্তিযুদ্ধের মহান ইতিহাস সংরক্ষণ করে অমরগাথা ও স্মারক চিহ্ন জীবন্ত রাখতে চাই।
পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহাদত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
এসআই