ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সৎ ছেলে নাহিদ হত্যা করেছে সিমাকে, দাবি নিহতের বাবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
সৎ ছেলে নাহিদ হত্যা করেছে সিমাকে, দাবি নিহতের বাবার

ঢাকা: রাজধানীর কাফরুলে ছুরিকাঘাতে ও পুড়িয়ে হত্যা করা সিমা আক্তারের (৩৩) মৃতদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে তার মৃতদেহের ময়না তদন্ত করে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা।

এদিকে নিহত সিমার বাবার দাবি, সিমার সৎ ছেলে নাহিদ তাকে হত্যা করেছে।

এ বিষয়ে নিহতের বাবা আইয়ুব আলী সরদার জানান, ঘটনার আগের রাতে তার সাথে মোবাইলে কথা হয় সিমার। ওই রাতে সিমার সৎ ছেলে নাহিদের সাথে পারিবারিক ঝামেলা নিয়ে নাহিদের শ্বশুড়-শাশুড়ি ও স্ত্রী, নাহিদের বাবা ও সৎ মা সিমাসহ সবাই বসে একটি মিমাংসা বৈঠক হয় বলে সিমা তাকে জানায়।

তিনি বলেন, নাহিদের সাথে তার মা সিমার সাথে সম্পর্ক বেশ ভালোই ছিল। তবে কিছুদিন আগে নাহিদ শ্বশুড় বাড়ি থেকে আসার পর পরিবারে ঝামেলা শুরু করে। তার বাবা মায়ের সাথে সে আর একসাথে থাকবেনা এবং সে স্ত্রী নিয়ে আলাদা থাকবে বলে জানায়।

সিমার বড় ভাই হেলাল জানান, নাহিদ দাবি করে সে স্ত্রী নিয়ে আলাদা থাকবে। তাকে মাসে ৫০ হাজার টাকা হাত খরচ দিতে হবে। পারিবারিক সভায় সেদিন নাহিদের বাবা তাকে আলাদা হতে মানা করে। একসাথে থেকেও তাকে মাসে ২০ হাজার টাকা হাত খরচ দিতে রাজি হয়। তবুও ছেলে নাহিদ তা মানছিল না।

তিনি জানান, নাহিদের বাবার ব্যবসার পাশাপাশি ২টি ফ্ল্যাট আছে। নাহিদ ভাবতো- বাবা হয়তো তার ২য় স্ত্রী সিমাকে সেগুলো সব লিখে দেবে। এসব বিষয় নিয়ে মা সিমার সাথেও খারাপ ব্যবহার করছিল সে। সবকিছু ভেবে পরিকল্পনা করেই সিমাকে হত্যা করেছে নাহিদ।

জানা যায়, ১ম স্বামী ওবায়দুর রহমানের সাথে সিমার আট থেকে নয় বছর আগে তালাক হয়। সে সংসারে সিমার হোসাইন আহমেদ (১৫) ও মাহিয়া (৭) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। মেয়েটি গ্রামে দাদা-দাদীর কাছে ও ছেলেটি মিরপুরে থাকে। ঢাকাতে সিমা কয়েক বছর একটি হাসপাতালের ফার্মেসিতে কাজ করতো। গত ১০ থেকে ১১ মাস আগে সে শাহজাহান সিকদারকে বিয়ে করে। শাহজাহানেরও এটি ২য় বিয়ে। বিয়ের পর থেকে স্বামী, শাহজাহানের আগের সংসারের ছেলে নাহিদ সিকদার ও তার স্ত্রী আইরিনকে নিয়ে মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের ইমামনগরে বাস করতো সিমা।

এর আগে রোববার (২৯ নভেম্বর) কাফরুল থানার ইমামবাগ এলাকার ১০তলা একটি ভবনের সাততলা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নারীর শরীরের এক অংশ পোড়া ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে পুলিশ নাহিদসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে।

মৃতদেহের ময়না তদন্তের পর নিহতের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর উপজেলার ডাংগা দুর্গাপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তার দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে নিহত সিমার বাবা আইয়ুব আলী সরদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
এজেডএস/এইচএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।