যশোর: প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেছেন, গণমাধ্যমে দুর্দিন চলছে। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আঞ্চলিক সংবাদপত্র।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে পিআইবির উদ্যোগে যশোর সার্কিট হাউজে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ’ কর্মশালা শেষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, করোনায় অন্য পেশার তুলনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংবাদপত্র। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে পুলিশ নার্সের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। সবাই বেতন ঠিক মতো পেলেও সাংবাদিকদের অবস্থা করুন। এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আঞ্চলিক সংবাদপত্র। টিম টিম করে চলছে এ সংবাদপত্রগুলো। সংবাদপত্র যাদের জন্য সেই পাঠকই নেই।
তিনি বলেন, সরকার তথ্য অধিকার আইন সাংবাদিকদের কর্মক্ষেত্রকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সাথে সাংবাদিকতায় এখন ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেকটাই সুবিধা এনে দিয়েছে। এখন সংবাদ মানে চ্যালেঞ্জ, টিকে থাকার লড়াই।
করোনাকালে সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা দুর্যোগে আমরা সংবাদপত্রে ব্যাপক পরিবর্তন দেখছি। বর্তমানে পত্রিকার পাঠক কমে গেছে। মানুষ এখন অনলাইননির্ভর সংবাদপত্রে ঝুকে পড়েছে। পত্রিকা হাউজগুলোতে পরিবর্তন এসেছে। অনেক হাউজ এখন অনলাইন বা মাল্টিমিডিয়া হয়েছে। সেই সাথে আঞ্চলিক পত্রিকাগুলোতেও নিজস্ব ছাপাখানার পাশাপাশি পত্রিকার মানও বাড়ানোর জন্য পত্রিকার সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দেন।
পিআইবি’র প্রশিক্ষক পারবীন সুলতানা রাব্বী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-এর সহ-সভাপতি মনোতোষ বসু, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান বকুল, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।
কর্মশালায় যশোরের কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৩৫ জন সাংবাদিক অংশ নেয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন প্রধান অতিথি প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
ইউজি/এমকেআর