যশোর: যশোরের খেজুরের গুড়-পাটালি তৈরির ঐতিহ্য ও সুনাম সেই আবহমান কাল থেকে। এই ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে গাছিদের মধ্যে সততা থাকতে হবে।
গুড়-পাটালি তৈরির সময় তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সব সময়ই খাঁটি জিনিসের কদর ও দাম পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মানুষকে খাঁটি গুড়-পাটালির গুণাগুণ সম্পর্কে বুঝাতে হবে। যাতে তারা ভেজাল গুড়ের প্রতি আকৃষ্ট না হয়।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে খেজুরের গুড়-পাটালি উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যশোরের ‘কেনার হাট’ খেজুরের গুড় সারাদেশে পৌঁছে দিচ্ছে। ভেজালমুক্ত গুড়-পাটালি হলে তারা গাছিদের থেকে অধিক দামে কিনে নিয়ে নিচ্ছে। তাই গাছিদের ভেজাল গুড় তৈরি হতে বিরত থাকতে হবে।
বাঘারপাড়া উপজেলা ও পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে সোমবার দু’দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়। খেজুরের রস ও গুড় তৈরির সাথে সংশ্লিষ্ট গাছিদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এতে উপজেলার ৬৫ জন গাছি প্রশিক্ষণ নেয়।
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া আফরোজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা জান্নাত, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিথিকা বিশ্বাস, গাছিদের মধ্যে জাকির হোসেন, আলী মোর্তজা ও আব্দুস সাত্তার মন্ডল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহুল আমিন, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরিফুল ইসলাম, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন আল আজাদ, যশোর জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ফরিদুজ্জামান, বাঘারপাড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
ইউজি/এমকেআর