ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শুরু হলো বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২০
শুরু হলো বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‌‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ’ এর আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর পুরো সময় ধরে এ সিরিজ আয়োজিত হবে।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লেকচার সিরিজের উদ্বোধন করা হয়।

এতে বঙ্গবন্ধুর ওপর কী-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। প্রতি মাসে এমন অন্তত একটি লেকচার আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত হয়ে লেকচার সিরিজের উদ্বোধন করেন।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঐতিহাসিক বিজয়ের মাসে আমরা আরেকটি ইতিহাস রচনাকারী অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছি, তা হলো ‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ’। প্রথম লেকচারার হিসেবে মঙ্গলবার বক্তব্য দেন আবুল মাল আবদুল মুহিত।

আগামী মাসে আমরা প্রস্তাব করেছি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বক্তব্য দেবেন। বঙ্গবন্ধু নিজে একজন ইনস্টিটিউট ছিলেন। তিনি একজন ভিশনারি নেতা ছিলেন। সাধারণ মানুষের অধিকার এবং বৈষম্য দূর করতে তিনি সারাজীবন কাজ করে গেছেন। সে সাধারণ মানুষের সত্যিকার বন্ধু ছিলেন। আমাদের তার জীবন এবং জীবন দর্শন সম্পর্কে গবেষণা করতে হবে। এর জন্য আমরা বঙ্গবন্ধু কূটনৈতিক সেন্টার চালু করেছি। এটি ছাড়াও বিদেশের ৭৮টি মিশনের মধ্যে ৬৮টি মিশনে আমরা বঙ্গবন্ধু কর্নার চালু করেছি। এসব মিশনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সেমিনার, ডায়ালগ, চলচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দুইজন কূটনীতিককে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমরা দুইজন কূটনীতিককে সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদের একজন আমাদের দেশের এবং আরেকজন বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিক। আগামী ১৬ ডিসেম্বর তাদের নাম প্রকাশ করা হবে।

২০২১ সালে বাংলাদেশে ওয়ার্ল্ড পিস কনফারেন্স আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তির বাহক ছিলেন এবং তিনি সমস্যা শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে ছিলেন। আগামী বছর বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় ওয়ার্ল্ড পিস কনফারেন্স আয়োজনের প্রস্তাব করেছি আমরা। এর মাধ্যমে বিশ্বের সব শান্তিকামীদের একটি সমাবেশ হবে।

কী-নোট স্পিকার এবং প্রথম বঙ্গবন্ধু লেকচারার হিসেবে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, একটি নতুন দেশ গঠনে যা যা করা দরকার তার অনেক কিছুই করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির দর্শন কী হবে, জাতির সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ কী হবে তিনি দেখিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরেই তিনি নেতৃত্বের মধ্যে দিয়ে জাতি গঠনের ভিত্তি রচনা করে গেছেন। তিনি জনগণকে এতটাই ভালবাসতেন যে, এ দেশের কোনো মানুষ তাকে হত্যা করতে পারে তিনি সেটা মানতেই চাননি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের কূটনীতিকরাসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।