ঢাকা: দেশের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলন চলাকালে তাদের পদ-পদবি পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এসব কার্যালয়ের কর্মচারীদের সচিবালয়ের কর্মচারীদের মতো পদ-পদবির দাবি করার মুখে এই উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এর ভিত্তিতে সোমবার (৩০ নভেম্বর) মাঠ প্রশাসনের ১১ থেকে ১৬ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, নভেম্বরের প্রথম পক্ষের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে কর্মরত ১১ থেকে ১৬ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান পদবিগুলো পরিবর্তন করে সচিবালয়ের মতো পদ-পদবি করার বিষয়ে আন্দোলন করে আসছেন।
দীর্ঘদিন তাদের এই দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে জানিয়ে প্রস্তাবে বলা হয়, কর্মচারীরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করায় মাঠ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমসহ জনসেবা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্য জনপ্রশাসন সচিবকে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।
মাঠ প্রশাসনের এসব অফিসের কর্মচারীরা বছরের পর বছর চাকরি করলেও পদোন্নতি ও বেতন গ্রেড পরিবর্তন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। দাবি আদায়ে তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সচিবালয়সহ অন্যান্য দফতর ও অধিদফতরে কর্মচারীরা পদোন্নতি পাচ্ছেন জানিয়ে তারা বলছেন, মাঠ প্রশাসনে কর্মরত অধিকাংশ কর্মচারী পদোন্নতি ছাড়াই অবসরে চলে যাচ্ছেন।
গত ১৫ থেকে ৩০ নভেম্বর কর্মবিরতি পালনের পর আগামী ৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ