মেহেরপুর: গোয়াল ঘরে জন্ম নেওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর সন্তানটিকে কার কাছে হস্তান্তর করা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে বুধবার (২ ডিসেম্বর)। বলা যায়, এদিনই শিশুটি তার পারিবারিক পরিচয় পাবে।
জেলা প্রশাসন পরিচালিত পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে চারজন আবেদনকারীর মধ্যে থেকে একজনকে বাছায় করে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে শিশুটির।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মো. মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফজলে রহমান, জেলা প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর অন্য এলাকা থেকে আসা মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী মেহেরপুরের সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের আলেকের বাড়ির পাশের গোয়াল ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে নবজাতকটি আলমপুর গ্রামের প্রবাসী শফিকুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুনের জিম্মায় দেন স্থানীয় লোকজন।
নবজাতকটি অসুস্থ হয়ে পড়ায় একই উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী সারবিনার তত্ত্বাবধানে তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসক ড. মো. মুনসুর আলম খান বাচ্চাটিকে সুষ্ঠুভাবে লালন-পালন করতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন পত্র আহ্বান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চার ব্যক্তি শিশুটিকে নিজেদের জিম্মায় নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। এরা হলেন সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুল খালেক, আমঝুপি গ্রামের খায়রুল ইসলাম টুটুল, আলমপুর গ্রামের জাহিদুজ্জামান এবং আবুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
এইচএমএস/