ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২০
‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে’ বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত শোকসভা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: ভাস্কর্য ইস্যুতে হক্কানি আলেমদের ঈমানি দায়িত্ব পালন করার করার আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘আপনারা নীরব থাকবেন না।

হক্কানি আলেমরা নায়েবে রাসুল হিসেবে এগিয়ে আসুন, সঠিক কথা বলুন। ভাস্কর্য ইসলামে হারাম নয়, সেটা জাতিকে বলুন। যারা আলেম সমাজ, তারা যদি কথা না বলে, মানুষ ধরে নেবে ইসলাম জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়। সুতরাং হক্কানি আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে। ’

বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত নাট্যজন আলী জাকের ও ফুটবলার বাদল রায় স্মরণে শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পৃথিবীর সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। এমনকি তিনটি ইসলামিক রাষ্ট্র- ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে প্রচুর ভাস্কর্য রয়েছে। সরকারকে অনুরোধ করবো, পৃথিবীর সব মুসলিম অধ্যুষিত দেশের ভাস্কর্য টেলিভিশনের মাধ্যমে জনগণকে দেখানো হোক। দূতাবাসের মাধ্যমে সব ভাস্কর্য সংগ্রহ করে প্রচার করা হোক। তাহলে মানুষ আসল ঘটনা বুঝবে। ’

তিনি বলেন, ‘ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। কয়েকজন ব্যক্তির কাছে ধর্ম লিজ দেওয়া হয় নাই। হক্কানি আলেমরা আপনারা কথা বলুন। না হয় ধর্ম ব্যবসায়ীরা আরও সুযোগ পাবে। কত জায়গায় ভাস্কর্য আছে, এতদিন কেউ কিছু বলেনি। হঠাৎ তারা এটা নিয়ে কথা বলছে। তাদের ধৃষ্টতা কতটুকু হয়েছে। তাও করিমুদ্দিন সলিমুদ্দীনকে নিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তাদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলার সময় এখনই। ’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাদের এজেন্ডা কী? এজেন্ডা একটাই। যখন তারা দেখলো, শেখ হাসিনা সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তখন তারা এ ইস্যু সামনে নিয়ে আসলে। যখন আজ জাতির অস্তিত্ব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হুমকির মুখে। সংবিধানে আঘাত এসেছে। আসুন আমরা এক হয়ে লড়াই করি। বঙ্গবন্ধুর সন্তানরা এক হয়ে তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়ি। তারা বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কে যে কথা বলেছে, অমার্জনীয় অপরাধ করেছে। যদি বক্তব্য প্রত্যাহার না করে, তাহলে কী করতে হবে, জানা আছে। সতর্ক হয়ে যান। ’

এসময় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন লায়ন গণি মিয়া বাবুল, এমএ করিম, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল বাহার টিপু ও অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
টিএম/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।