ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেসবুকে ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে এক মাস ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২০
ফেসবুকে ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে এক মাস ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ 

সিরাজগঞ্জ: গণধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে এক মাস ধরে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই কিশোরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে।  

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের পোরজনা গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ইউসুফ আলী (১৮) নামে এক ভ্যানচালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ইউসুফ আলী (১৮) ওই গ্রামের আলীর ছেলে।  

এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোর একই গ্রামের মিন্টু প্রামাণিকের ছেলে জীবন (১৭) ও মানিক হোসেনের ছেলে ফয়সালকে (১৭) পুলিশ গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।  

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, এক মাস আগে স্কুলে যাওয়ার সময় ইউসুফ, জীবন ও ফয়সাল আমার মেয়েকে রাস্তা থেকে ধরে ফয়সালের নির্জন বাড়ির একটি ঘরে নিয়ে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে। এ সময় ইউসুফের মোবাইল ফোনে ফয়সাল এ ধর্ষণের চিত্র ভিডিও ধারণ করে। এরপর ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গত একমাস ধরে তিনজন মিলে প্রায় রাতেই মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসছিল। মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) গভীর রাতে তারা ধর্ষণের জন্য টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমার মেয়ে চিৎকার দেয়। এতে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ইউসুফকে হাতেনাতে আটক করে। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় ফয়সাল ও জীবন।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউসুফকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় মামলা করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এদিকে, এ গণধর্ষণে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় লোকজন ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।