ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে আশ্রয় দিলেও মিয়ানমারেই ফিরতে হবে

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে আশ্রয় দিলেও মিয়ানমারেই ফিরতে হবে

ঢাকা: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর করা হলেও মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনকেই বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার দেবে। ভাসানচরে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হলেও মিয়ানমারে তাদের ফিরতেই হবে।

 

শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রোহিঙ্গাদের প্রথম দল শুক্রবার ভাসানচরে পৌঁছেছেন। সেখানে ১৬শর বেশি রোহিঙ্গা গেছেন। যারা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে চেয়েছেন তাদেরই পাঠানো হয়েছে। ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে পাঠানো হবে।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়ার আগে তাদের কমিউনিটি থেকে নেতারা পরিদর্শন করেছেন। এনজিও ও গণমাধ্যমের কর্মীরাও পরিদর্শন করেছেন। ভাসানচর পুরোপুরি সুরক্ষিত। রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার থেকে ভাসানচরে বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাসানচরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও ২২টি এনজিও সহায়তা দেবে।

রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরতে হবে। অস্থায়ীভাবে আশ্রয়প্রাপ্ত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়াটাই এই সঙ্কটের একমাত্র টেকসই সমাধান।  

একই সঙ্গে আমরা সবাইকে বাংলাদেশ সরকারের প্রকৃত প্রচেষ্টাকে দুর্বল বা ভুল ব্যাখ্যা না করার জন্য সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, রোহিঙ্গারা যেন মিয়ানমারে দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদার সঙ্গে ফেরার লক্ষ্যে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে তাদের প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত রাখে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর পাঠানোর বিষয়ে বিরোধিতা করছে। এছাড়া ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থানান্তরকরণ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ এক বিবৃতি জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভাসানচরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের কাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শুরু করার সম্ভাবনা বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে জাতিসংঘ অবগত রয়েছে। উক্ত স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে, অথবা শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি।

স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ভাসানচর স্থানান্তর নিয়ে জাতিসংঘের কারিগরি কমিটির মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিরোধিতা করলেও শুক্রবার প্রথম ধাপে ১৬শর বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচর পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।