ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা

ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল উল্লেখ করে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নারীদের গর্জে উঠার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কোনো বিষয় মেনে নেওয়া হবে না। যারা এ ধরনের ঘৃনীত কাজ করছে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রোববার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘নারী ও কন্যা নির্যাতন এবং সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধ’ বিষয়ে প্রশাসন ও পেশাজীবীদের সঙ্গে এক অনলাইন মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, যারা নারীর অধিকার মানে না, মানে তেতুল তত্ত্ব, তারা শুধু নারী ধর্ষণকারীদের পক্ষে কথা বলে। তাদের জায়গা দুই লক্ষাধিক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে হবে না। তাদের জায়গা ওই পাকিস্তানে।  

তিনি বলেন, মা-বোনেরা গর্জে উঠো, জেগে উঠো, নারীরা প্রতিহত কর ওই ধর্ম বিরোধী-স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদীদের।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার বদ্ধ পরিকর। সে লক্ষে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। নারী নির্যাতনের বিচারকার্য আর আগের মতো ঝুলে থাকবে না। বর্তমানে সময়ের প্রয়োজনে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে বিচার শেষ হচ্ছে। এখন জনগণ সুফল পাচ্ছে। বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, যৌতুক, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। সচেতনা আরও বাড়ানো হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতাদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।  

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন। নির্যাতিত মা-বোনদের বীরাঙ্গনা উপাধিতে ভূষিত করে মর্যদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন। নারীদের ক্ষমতায়নের পথ সৃষ্টি করেন। জতির পিতার পথ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার সম-মর্যাদার প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে যা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

‘‘ধর্ষণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ- আসুন নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ’’ স্লোগানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফাওজিয়া মোসলেম এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ, জাতীয় বার্ন ইউনিটের চিফ কো-অর্ডিনেটর ডা. সামন্ত লাল সেন।  

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।