ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান প্রস্তুত, বসতে পারে ১০ ডিসেম্বর

সাজ্জাদ হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২০
পদ্মা সেতুর শেষ স্প্যান প্রস্তুত, বসতে পারে ১০ ডিসেম্বর ছবি: বাংলানিউজ

মুন্সিগঞ্জ: পদ্মা সেতুতে এখন স্প্যান বসানো বাকি আছে একটি। প্রথম স্প্যান বসানো থেকে এ পর্যন্ত আসতে প্রকৌশলীদের অক্লান্ত পরিশ্রম সফলতায় রূপ নিতে যাচ্ছে।

পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে থাকা পিলারগুলোতে স্বপ্ন জোড়া লাগার অপেক্ষা। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ স্প্যানটি বসিয়ে দেওয়া গেলেই পুরো সেতু দৃশ্যমান হবে। সংযোগ হবে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার।

প্রমত্তা পদ্মায় ৬ হাজার ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু গড়বে বাংলাদেশের একটি নতুন দিগন্ত। বিজয়ের মাসে সেতুতে শেষ স্প্যানটি বসিয়ে পদ্মা জয় করবে পদ্মা সেতু। আর এজন্য অপেক্ষা চার দিনের।   

এদিকে, শেষ স্প্যান তাই স্প্যানের দু’পাশে বাংলাদেশ ও চীনের পতাকা। সঙ্গে দু’দেশের সম্পর্ক অটুট রাখার বার্তাও। আর স্প্যান বসানোর জন্য প্রস্তুত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। এখন চলছে ২ পিলারের ওপর স্প্যান স্থাপনের জন্য কারিগর কাজ।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে একেকটি স্প্যান বসাতে সময় লাগতো কয়েক মাস। তবে গত ২ মাসে আটটি স্প্যান ও এ মাসে একটি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে প্রকৌশলীরা কাজের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে থেমে থাকেনি সেতুর কাজ। ২০১৪ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল পদ্মা সেতুর। এরপর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বসানো হয় প্রথম স্প্যান। ধাপে ধাপে পিলারে স্প্যান বসিয়ে ইতোমধ্যে ৪০টি  বসানো হয়েছে।

পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানোর কাজে জড়িত কয়েকজন প্রকৌশলী বাংলানিউজকে জানান,  মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর শেষ স্প্যান বসবে। অনুকূল আবহাওয়া আর টার্গেট অনুযায়ী প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ১০ ডিসেম্বর স্প্যান বসানোর একটি সম্ভাব্য তারিখও নির্বাচন করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।  

মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে কয়েকদিন ধরে প্রস্তুত আছে শেষ স্প্যান টু-এফ। কয়েকদিন আগেই সব ধরনের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, শ্রমিকদের মধ্যে বইছে উৎসব মুখর একটি পরিবেশ। ৪০টি স্প্যান বসানোর অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে বসবে এ স্প্যানটিও। স্প্যান বসানো শেষ হলে রেলওয়ে ও রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর গতি বৃদ্ধিতে মনযোগী হবে সংশ্লিষ্টরা।

শেষ স্প্যানটি বসানো নিয়ে জেলা জুড়েই এখন আলোচনা চলছে। দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ সেতুর কাজ এগিয়ে গেছে। কাজ শুরুর দিকে নানা অনিশ্চিয়তা ছিল, কিন্তু সেতুর কাজ এগিয়ে যাওয়ায় আনন্দিত জেলাবাসী।

স্প্যান বসানোর কাজে জড়িত প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম পাটোয়ারি বাংলানিউজকে বলেন, ২ পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর জন্য কারিগরি কাজগুলো সম্পন্ন করা হচ্ছে। কয়েকটি ধাপ শেষ হলেই স্প্যান বসানোর জন্য উপযোগী হবে। আর এ জন্য ইয়ার্ডে প্রস্তুত আছে শেষ স্প্যানটিও।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।