ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেসক্লাব থেকে শিক্ষকদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২০
প্রেসক্লাব থেকে শিক্ষকদের লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের অবস্থান। জি এম মুজিবুর

ঢাকা: বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকদের পানি ছিটিয়ে ও লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে প্রেসক্লাবের সামনে ঘুমন্ত শিক্ষক ও শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির দপ্তর সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ বিন হাকিম বাংলানিউজকে বলেন, ভোর পাঁচটা দিকে প্রেসক্লাবের সামনে ঘুমন্ত অবস্থায় পুলিশের একটি দল আমাদের ওপরে লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের প্রায় ১০ থেকে ১৫ জনের মতো শিক্ষক আহত হয়েছেন।  

তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের ওপর পানি ছিটানো হয়। এতে শিক্ষকরা ও পোশাক শ্রমিকরা কয়েক মিনিটের মধ্যে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে কারো হাত, কারো মাথায়, কারো কপালে ও পিঠে আঘাত পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি আহত হন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মো. রফিকুজ্জামান (৩৫) নামে এক শিক্ষক। তিনি ঝিনাইদাহের কোর্ট চাঁদপুর উপজেলার গড়সতী স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষক।  

দপ্তর সম্পাদক হাকিম বলেন, আমরা সরকারের পক্ষে থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছিলাম। তারা যদি আগে থেকে আমাদের বলতো তাহলে আমরা উঠে যেতাম। ভোরে আমাদের ওপরে লাঠিচার্জ এটা আসলেই দুঃখজনক।  

নীলফামারীর একটি স্বতন্ত্র ইবতেদিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভোরের দিকে হঠাৎ বাঁশির শব্দ ও চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের লাঠির আঘাত আমার কপালে ও পায়ে লেগেছে।

শাহবাগ থানার পরিদর্শক বাশার বাংলানিউজকে বলেন, কে বা কারা শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকদের তাড়িয়ে দিয়েছে তা আমরা জানি না। আজ আমার এখানে ডিউটিও ছিল না।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন অর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রেসক্লাবের সৌন্দর্য ও সুনামের দিকে তাকিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকরা রাতের আধারে প্রেসক্লাব থেকে সরে গেছেন। আমি শুধু জানি তারা সেখান থেকে চলে গেছেন।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ ও পানি ছিটিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি মামুন অর রশিদ বলেন, এ ব্যাপারে আমি কোনো কিছুই জানি না। আমি জানি যে প্রেসক্লাবের সৌন্দর্যের জন্য আন্দোলনরত শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকরা রাতের আধারে সেখান থেকে চলে গেছেন।  

দীর্ঘদিন ধরেই স্ব স্ব দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী, তাজরীন গার্মেন্টস ও এওয়ান গার্মেন্টসে কর্মরত শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।