খুলনা: চারিদিকে নিস্তব্ধ। আর দিগন্তবিস্তৃত কুয়াশা।
কুয়াশার কারণে গাড়ি চলাচলে তো বটেই, পায়ে হেঁটেও পথ চলতে হচ্ছে সাবধানে। সড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় খুলনার সড়কগুলোতে যানগুলো চলছে ধীর গতিতে।
সূর্যের দেখা না মেলায় হিমেল হাওয়ার কারণে কনকনে শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে খুলনাঞ্চলের নদ-নদীতে নৌ-যান চলাচলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ক্রমান্বয়ে হিমেল হাওয়া ও ঘনকুয়াশায় শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে। এতে করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও কর্মজীবী মানুষ। সবার সবই চলছে, তবে অতি কষ্টে।
অন্যদিকে শীতের তীব্রতা কাঁপন ধরিয়েছে মানুষের হাড়ে। তাপমাত্রা হ্রাস পেতে শুরু করায় শীতের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বেড়েছে করোনার প্রকোপও।
ঘনকুয়াশা ও শীতে বিপাকে পড়ছেন খুলনার ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ কয়রার বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষ। ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন ধরনের ফসল ও সবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেছে যে কারণে সূর্য উঠলেও দেখা যাচ্ছে না। খুলনায় ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে বেলা ১১টার দিকে সূর্যের দেখা মিলতে পারে আকাশে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮ , ২০২০
এমআরএম/কেএআর