ঢাকা: সরকার ক্ষমতা হারানোর ফোবিয়াতে আছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেছেন, বর্তমান সরকার প্রতি জনগণের যে সমর্থন ছিল, সেটা এখন আর নেই। তাদের বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদের আয়োজনে মঙ্গলবার ভোরে প্রেসক্লাবে অবস্থানরত শিক্ষক, শ্রমিক ও শিক্ষনবিশ আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
দেশের জনগণকে উদ্দেশ্য করে নুরুল হক নুর বলেন, আজ সরকার তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত। তারা ক্ষমতা হারানোর ফোবিয়াতে ভুগছে। সুতরাং আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ হন, এই স্বৈরশাসন আর টিকতে পারবে না।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে নুর বলেন, আপনারা যদি সম্মানজনক বিদায় চান, অতি দ্রুত সব রাজনৈতিক দল, সংগঠনগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার জন্য একটি কার্যকর উদ্যোগ নিন। অন্যথায় আপনাদের গণআন্দোলনের মুখে বিদায় নিতে হবে। আপনার যতই টালবাহানা ও নাটক করেন না কেন, জনগণ কিন্তু ক্ষুব্ধ, জনগণের সমর্থন নেই। দেশের জনগণ খুব শিগগিরই তাদের ভোটাধিকার আদায়ে রাজপথে নামবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নামধারী সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিজয়ের মাসে শ্রমিক, শিক্ষক, আইনজীবীদের ওপরে রাতের অন্ধকারে হামলা করে। স্বাধীনতার ৪৯ বছরে এটা লজ্জাজনক ঘটনা। সরকার কারো কথা শুনতে চায় না। যখনই কেউ যৌক্তিক ও ন্যায় সঙ্গত দাবি সরকারকে জানায়, রাজপথে নামে, তখনই সরকার ভাবে-এই বুঝি তাদের গদি নড়বড়ে হলো। সেই আতংক থেকে তারা দমনপীড়নের মাধ্যমে মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চায়।
রোহিঙ্গা বিষয়ে নুর বলেন, এই সরকার একটি আন্তর্জাতিক সমস্যাকে শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পাশ কাটিয়ে আসছে। সরকার তাদের তথাকথিত বন্ধু রাষ্ট্র, ভারতের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। এখন রোহিঙ্গা বিষয়টি নিয়ে সরকার জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছে। জাতিসংঘসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা বলছে, ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের না নেওয়ার জন্য। সবার মতামত উপেক্ষা করে সরকার রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে সমাধানের পথ বন্ধ করে দিচ্ছে।
ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনা প্রসঙ্গে নুর বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
এসজেএ/এএটি