ঢাকা: ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি জানিয়েছিল। এর মধ্যে সাত নম্বরে ভাস্কর্যবিরোধী একটি দাবি ছিল।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে ‘মৌলবাদ বিরোধী সাংবাদিক সমাজ’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু অধ্যয়ন কেন্দ্র’ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ প্রশ্ন তোলেন তারা।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাবেক সভাপতি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আর কিছুদিন পরেই আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করব। এর ঠিক আগ মুহূর্তে কেন পুরনো জিকির তোলা হলো? হেফাজতে ইসলাম ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছিল। সেখানকার ৭ম দফায় ভাস্কর্যের বিষয়টি ছিল। ২০২০ সালে এসে কেন সেই দাবিকে প্রধান দাবি হিসেবে সামনে আনা হলো?
তিনি বলেন, দেশে অনেক ভাস্কর্য আছে। কিন্তু এখন হঠাৎ করে কেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে টার্গেট করা হলো? এর পেছনে অবশ্যই রাজনীতি আছে। এটা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার রাজনীতি। দেশের বর্তমান যে অগ্রযাত্রা, এটিও কারো গাত্রদাহের কারণ কিনা ভেবে দেখতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আক্রমণকে দেশের অস্তিত্বের ওপর আক্রমণ আখ্যায়িত করে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকরা ধর্মের শিক্ষা দেবেন এটাই হওয়ার কথা। কিন্তু এখন দেখছি তারা ধর্ম শিক্ষার চাইতে রাজপথের আন্দোলনে বেশি ব্যস্ত। এই কর্মকাণ্ড মাদ্রাসাগুলো ব্যবহার করে হীন চেষ্টা চরিতার্থ করার অপকৌশল কিনা ভেবে দেখার সময় এসেছে। তাদের সঙ্গে ব্যর্থ দলগুলো সম্মিলিত হয়েছে কিনা সেটা দেখতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
পিএম/এমজেএফ