ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘আঘাত এলে প্রতিঘাতের ক্ষমতা থাকতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
‘আঘাত এলে প্রতিঘাতের ক্ষমতা থাকতে হবে’ মিরপুর সেনানিবাসে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স ডিএসসিএসসিতে গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি

ঢাকা: সশস্ত্র বাহিনীকে সব সময় প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কেউ যদি আমার সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে প্রতিঘাত করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। ’

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২০ এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২০ এর গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মিরপুর সেনানিবাসে শেখ হাসিনা কমপ্লেক্স ডিএসসিএসসিতে এ গ্র্যাজুয়েশন সেরেমনি হয়।

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই কথাটা আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে। যেমন সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আমরা রাখবো। আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। কিন্তু কেউ যদি আমার সার্বভৌমত্বে আঘাত করতে আসে, প্রতিঘাত করার মতো সক্ষমতা আমরা যেন অর্জন করতে পারি। সেভাবে আমাদের প্রশিক্ষণ এবং প্রস্তুতি থাকতে হবে। এ কথাটা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যকে সদা মনে রাখতে হবে। ’

রোহিঙ্গা সংকট দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব সময় শান্তিতে বিশ্বাস করি এবং আমরা শান্তি চাই। যেমন মিয়ানমার থেকে আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমারের নাগরিকরা। প্রায় ১০ লাখের ওপরে। আমরা তাদের সঙ্গে কখনো সংঘাতে যাইনি। কিন্তু আলোচনা করে এটা সমাধানের চেষ্টা করছি এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সবাইকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি, এই বিশাল একটা বোঝা আমাদের ওপর, এটা যেন খুব দ্রুত তারা সমাধান করেন। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র নীতি খুব স্পষ্ট। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এ পররাষ্ট্রনীতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গেছেন। আমরা সেটাই মেনে চলছি। ’

টানা তিনবারের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেছি। সবচেয়ে বড় কথা দেশের উন্নয়ন করতে হবে। তার জন্য বিনিয়োগ প্রয়োজন। বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে যেখানে যতটুকু সহযোগিতা পাওয়া যায় এবং যাদের কাছ থেকে যতটুকু প্রযুক্তি জ্ঞান পাওয়া যায়, সেটুকু নিয়েই আমরা আমাদের দেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, সব সময় একটা কথা মনে রাখতে হবে যে, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ বাহিনী গড়ে উঠেছে। কাজেই এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের গড়ে তুলবেন। যেন সব সময় জনগণের পাশে থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। ’

সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাধুবাদ জানাই সশ্রস্ত্র বাহিনীকে কারণ আমি দেখেছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যেকোনো সময় সশস্ত্র বাহিনী মানুষের পাশে দাঁড়ান। বিশেষ করে এবার কোভিড-১৯ এর সময় ব্যাপকভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আপনারা সেবা দিয়েছেন। নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে রেখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ’

স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ স্বাধীনতা। এর সুফল প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে আমরা পৌঁছাতে চাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০
এমইউএম/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।