ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২১
শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্কুলের বেতন নিয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

শনিবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।  

মানববন্ধনে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি শিক্ষার্থী তিশা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ লাইন্স উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়। পরে বিশেষ প্রয়োজনে পরিবারের সদস্যরা ওই শিক্ষার্থীর জন্য ছাড়পত্র আনতে গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পুরো ১ বছরের বেতনের জন্য চাপ প্রয়োগ দেন। বিষটি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা অপত্তিকর ভাষায় কথা বার্তা বলে। পরবর্তীকালে হয়রানি করতে তারা আমাদের পরিবারের ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেস। এতে বর্তমানে ছাত্রীর মা ও বোন জামিন পেলেও তার ভাই ইসমাইল খন্দকার মুন্না এখনো কারাগারে রয়েছে। তারা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং এ ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবি জানিয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ও সদর থানার এসআই মুজিবুর, এএসআই আহছাব সহ জড়িতদের পদত্যাগ চান। মানববন্ধনে পরিবারের সদস্যও তার সহপাঠিরা উপস্থিত ছিলেন।  

এ বিষয়ে পুলিশ লাইন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল হোসেন বলেন, তাদের কাছে অতিরিক্ত এক বছরের বেতন চাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। বিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুই মাসের বেতন মওকুফের কথা বলা হয়েছিল। কিন্ত করোনাকালীন সময় ক্লাস না হওয়াই তারা বেতন পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, বেতন নিয়ে শ্রেণি শিক্ষকের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি শেষে আমার রুমে প্রবেশ করি। এ সময় তাদের দুই মাসের বেতন মওকুফ করে অবিশিষ্ট বেতন পরিশোধ করে ছাড়পত্র নেওয়ার কথা বললে কিছু বোঝার আগেই আমার ওপর হামলা চালায় এবং মারধর করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়রি ০৯, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।