ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে ২ কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন (ভিডিও)

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে ২ কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন (ভিডিও)

নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় ছাগল চুরির অপবাদ দিয়ে সাগর (১৬) ও অন্তর (১৭) নামে দুই কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুই যুবকের বিরুদ্ধে।

 

ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। টনক নড়ে পুলিশের। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তদের ধরতে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। অপরদিকে, নির্যাতনের পর থেকে দুই কিশোরের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না তাদের পরিবার।  

রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বিলদহর বাজারে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত কিশোর সাগর গুরুদাসপুর উপজেলার হরদমা গ্রামের দিনমজুর আসাদের ছেলে এবং অন্তর ওই গ্রামের শাহিন ইসলামের ছেলে। তারা দু’জনই স্কুলছাত্র।

অভিযুক্ত মোস্তফা সরদার বিলদহর গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে ও সোহেল হোসেন কালিনগর গ্রামের মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে। তারা মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে। বিলদহর বাজারে তারাই ওই দুই কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে প্রকাশ্যে নির্যাতন করেন।

এ ঘটনার সময় স্থানীয় যুবক রিপন ও তার মা প্রতিবাদ জানালে তাদেরও পিটুনি দেন মোস্তফা ও সোহেল। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তারা দুজনেই এলাকা থেকে পালিয়ে যান।  

 

সাগরের মা ও স্থানীয়রা বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে সাগর ও অন্তর কাঁচাবাজার করতে বিলদহর বাজারে যায়। পথে বিলদহর গ্রামের স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী মোস্তফা ও সোহেল তাদের ধরে মারধর করে এবং তাদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বলা হয় তারা এলাকার একটি ছাগল চুরি করেছে তাই তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

খবর পেয়ে সাগরের মা সেখানে ছুটে গিয়ে তার সন্তানকে খুঁজে পাননি। সাগরের মা বলেন, আমার ছেলেকে বিলদহর হাটে পাঠিয়েছিলেন বাজার করার জন্য। সে কখনও ছাগল চুরি করতে পারেনা। এ ঘটনার পর থেকে আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। এ বিষয়ে আমি মামলা করবো।

এলাকাবাসী জানান, মোস্তফা সরদার সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা উত্তোলন করে। সোহেল মাদক ব্যবসায়ী। এলাকার সকলেই তাদের মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী হিসেবে চিনেন। সেহেলের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে।
 
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বাংলানিউজকে বলেন, তিনি মারধরের ঘটনাটি শুনেছেন। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।