ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

যান্ত্রিক নগরীতে পৌষ উৎসব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
যান্ত্রিক নগরীতে পৌষ উৎসব ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: শীতকালের প্রথম মাস বিদায় নিলো বুধবার (১৩ জানুয়ারি)৷ পৌষের শেষ দিনে লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে সঙ্গীত-শিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সুরের ধারা আয়োজন করে পৌষ উৎসবের৷

বাঙালির পুরনো ঐতিহ্য পৌষ উৎসবকে নতুন করে যান্ত্রিক নাগরিক জীবনে নতুনরূপে চর্চার প্রচেষ্টায় 'সুরের ধারা' বিগত ছয় বছর ধরে এ আয়োজন করে আসছে। প্রতি বছর দুইদিনের আয়োজন হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের উৎসব একদিনের৷

বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় উৎসবের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন৷ এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সুরের ধারার অধ্যক্ষ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাঙালির সকল উৎসব ঐক্যের প্রতীক৷ আবহমান বাংলার এসব উৎসব আমাদের ভ্রাতৃত্ব বৃদ্ধি করে৷ এ ধরণের অায়োজন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে৷

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, গত মার্চ থেকে আমরা গৃহবন্দি৷ এ সময় আমাদের শারীরিক স্থবিরতা থেকে মানসিক স্থবিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এটা কাটানোর জন্যই এ আয়োজন৷

আয়োজনের শুরুতেই সুরের ধারার শিশু শিক্ষার্থীরা গেয়ে শোনায় 'মাটি তোদের ডাক দিয়েছে'৷

একক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জয়ন্ত আচার্য, কৃষ্ণকান্ত আচার্য, দিয়া৷

'পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে' গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন নয়নতারা ও সারিনা এবং 'নতুন ধানের চিড়া' গানের সঙ্গে শুচিতা ও সাউদা৷

পৌষ উৎসবকে ঘিরে দারুণ করে সাজানো হয় লালমাটিয়া হাউজিং সোসাইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ।

দেশীয় সংস্কৃতির সম্ভারে সাজানো হয় উৎসব প্রাঙ্গণ৷

শীতকালীন পিঠা-পুলি থেকে শুরু করে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী জামদানী শাড়ি, রাজশাহী ও টাঙ্গাইলের সিল্কও মেলে উৎসবে৷ দশটি পৃথক স্টলে এসব পণ্য সংগ্রহ করেন আগ্রহীরা৷

খড় ও বাঁশের বেড়া দিয়ে গ্রাম্য আদলে তৈরি করা ঘরের সামনে ছিল ছবি তোলার ভিড়৷

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২১
ডিএন/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।