ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গুলশানের হোল্ডিং ট্যাক্স-ইউটিলিটি বিল যাত্রাবাড়ীর সমান কেন?

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
গুলশানের হোল্ডিং ট্যাক্স-ইউটিলিটি বিল যাত্রাবাড়ীর সমান কেন?

ঢাকা: সব বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাতে একই রকম হোল্ডিং ট্যাক্স ও ইউটিলিটি বিল হওয়া ঠিক নয় মন্তব্য করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়নের বিষয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) এবং বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সভার শুরুতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সব বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকাতে একই রকম হোল্ডিং ট্যাক্স হওয়া ঠিক না। সব এলাকায় একই রকম ইউটিলিটি চার্জ হওয়া উচিত না। গুলশানে বসবাস করলে আপনি কিছু বেশি সুবিধা পাচ্ছেন, আপনি অ্যাফর্ডেবল পারসন। গুলশানের ট্যাক্স রেট, পানির দাম, বিদ্যুতের দাম, যাত্রাবাড়ীর দামের সমান কেন হবে?

মন্ত্রী বলেন, আপনি যদি অ্যাফর্ডেবল পারসন হন, ক্রেডিবল পারসন হন, তাহলে জাতির জন্য যে আপনার অবদান আছে সেটা রাখছেন? ভিন্ন ভিন্ন হার না হওয়াটাই বৈষম্য। যে এলাকাতে বেশি হওয়া দরকার সেখানে বেশি হবে। আমি পৃথিবীর বিভিন্ন সিটিতে তথ্য নিয়েছি, সব জায়গায় এক রকম রেট না। লন্ডনে প্রতিদিন এক-দুই মিলিয়ন লোক সকাল বেলায় ঢুকে, বিকেল হলে চলে যায়। কারণ তারা সেখানে অ্যাফোর্ড করতে পারে না। কলকাতায় ট্রেন স্টেশনগুলোয় সকালে লাখ লাখ লোক ঢুকতেছে, বিকেল হলে চলে যায়।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এ প্রস্তাবের কেউ কেউ বিরোধিতা করলে আলোচনা হোক। দু’একটা গালমন্দ শুনতেও হয়, তাহলে শুনে এ বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, ট্যাক্স রেট ও ইউটিলিটির প্রাইজ কেন এক হবে?

ড্যাপ কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে- এক প্রশ্নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ড্যাপের মেয়াদকাল ২০৩৫ সাল। এখন ফেইজ বাই ফেইজ কাজ হবে। আমি ড্যাপের আহ্বায়ক হওয়ার পর থেকে মূল কাজটা করছি। সেটা হচ্ছে-আমাদের যারা স্টেকহোল্ডার আছেন এবং যারা অবদান রাখবেন ওনাদের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মিটিং করছি। মিটিং করার পরে আমরা মূল কাজে যেতে পারবো।

মন্ত্রী বলেন, আমরা একটা নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি যে কোথায় কততলা বিল্ডিং হলে ঢাকার মানুষের বসবাসের জন্য উপযোগী হবে। কোথাও ৫০তলা হবে, আবার দেখা যায় যে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে গেছে তখন সেখান থেকে অফলোডও করতে হবে। অফলোডের জন্য কিছু রেগুলেটরি ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে কাজ করবো।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শফিউল হকসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সভায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) সভাপতি আহমেদ আকবর সোবহান, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খাঁন মুকুল, রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন, বিএলডিএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এমএম এনামুল হক, বিএলডিএ’র কোষাধ্যক্ষ এবং ইউনাইটেড গ্রুপের উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ, রিহ্যাব'র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সোহেল রানাসহ কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।