ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ইউরোপ সফর থেকে দেশে ফিরে বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ড. হাছান।
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী হত্যা মামলায় বাবুনগরী ও মামুনুল হকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘নির্যাতনের মাধ্যমে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ’
‘নির্যাতনের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট এবং তখনকার পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শতবর্ষী আল্লামা শাহ আহমদ শফীর চরম অসুস্থতাকালে তার কক্ষ ভাঙচুর করা, হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক ঘণ্টা গাড়ি আটকে রাখা, অক্সিজেন টিউব খুলে নেওয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা -এসবই সবাই দেখেছেন। ’
তিনি বলেন, ‘আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব আমার নির্বাচনী এলাকার ও আমার পাশের ইউনিয়নের একজন আলেম ছিলেন। তার মতাদর্শ নিয়ে নানা কথা থাকলেও মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সজ্জন। যারা মামলা করেছেন, তারাও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ। আমি চাই, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেবকে যারা নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক। ’
করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য সম্পর্কে এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনগণকে মহামারির হাত থেকে রক্ষার জন্যই সরকার লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশেও একই ব্যবস্থা। কিন্তু দুঃখজনক, মির্জা ফখরুল সাহেবদের কথা শুনে মনে হয়, তারা চান, দেশে করোনা সংক্রমণ আরও ব্যাপক বেরে যাক, প্রতিদিন দেশে শতশত মানুষের মৃত্যু হোক, তাহলে তাদের রাজনীতিতে সুবিধা হয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
এমআইএইচ/আরআইএস