ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জলবায়ু সামিটে প্রধানমন্ত্রীর ৪ দফা পেশ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
জলবায়ু সামিটে প্রধানমন্ত্রীর ৪ দফা পেশ

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় চার দফা পেশ করেছেন।

শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেট শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণ নিয়ে ভার্চ্যুয়াল এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে চার দফা পেশ করেছেন। এ চার দফাগুলো হলো- অবিলম্বে উন্নত দেশগুলোর উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্যপরিকল্পনা গ্রহণ, যাতে তাদের জাতীয় কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার মাধ্যমে বৈশ্বিক তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি  সেলসিয়াসে রাখা যায়। আলোচ্য দেশসমূহের প্রতিকার ব্যবস্থাপনার ওপর অধিক গুরুত্ব দিন। বাৎসরিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা। ৫০ থেকে ৫০ শতাংশ অনুসারে অভিযোজন এবং প্রতিকার কার্যক্রমের মধ্যে ভারসাম্য রেখে বন্টন করা। এর মাধ্যমে লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির প্রবিধান করা এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোর প্রতি বিশেষ নজর রাখা। বৃহত্তর অর্থনীতির দেশগুলো, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলো এবং বেসরকারি খাত থেকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়নের ব্যবস্থা করা এবং নতুন উদ্ভাবনী সমাধানের জোর চেষ্টা চালানো। ‘সবুজ অর্থনীতি’ এবং ‘কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তি’র প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা এবং দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি স্থানান্তরের সুব্যবস্থা করা।

ড. মোমেন আরও জানান, সম্মেলনের প্রথম দিনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত বিশ্ব নেতাদের প্রতি তার বক্তব্য উত্থাপন করেন। বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে এ সম্মেলনে দাওয়াত করার জন্য ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি’-তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় প্রত্যাবর্তন এবং জলবায়ু বিষয়ক এ সম্মেলনের আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে জানান, প্রতি বছর বাংলাদেশ জলবায়ু অভিযোজন ও সহনশীলতা গঠনে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে যা আমাদের জিডিপি-এর ২.৫ শতাংশ। উপরন্তু, মিয়ানমার থেকে আগত ১১ লক্ষাধিক জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগণের উপস্থিতি বাংলাদেশের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবগুলোহকে আরও গভীর করে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে বাৎসরিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। এ অর্থ থেকে ৫০-৫০ শতাংশ অনুসারে অভিযোজন এবং প্রতিকার কার্যক্রমের মধ্যে ভারসাম্য রেখে বন্টন করা এ সুপারিশ করেন। এর মাধ্যমে লোকসান ও ক্ষয়ক্ষতির প্রবিধান করা এবং জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোর প্রতি বিশেষ নজর রাখার কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ভবিষ্যতে আমরা কয়লাভিত্তিক প্রকল্প কমিয়ে দেবো। আমরা রিনিউব্যাল এনার্জিতে জোর দেবো।

প্রসঙ্গত, ২২ থেকে ২৩ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে বিশ্বের ৪০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
টিআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।