ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাপান ছাড়লো মেট্রোরেলের আরো ৬ কোচ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
জাপান ছাড়লো মেট্রোরেলের আরো ৬ কোচ

ঢাকা: বাংলাদেশের মেট্রোরেলের জন্য মোট ২৪ সেট ট্রেন সরবরাহ করবে জাপান। ছয় সেট ট্রেন এরইমধ্যে দেশে পৌঁছে বসেছে রেলট্র্যাকে।

চলছে পরীক্ষা- নিরীক্ষা। আরো ছয় সেট ট্রেন বাংলাদেশের উদ্দেশে জাপান ছেড়েছে। মোট ২৪ সেট ট্রেনের জন্য মোট ব্যয় হচ্ছে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।  

বুধবার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে জাহাজীকরণ শেষে কোবে সমুদ্রবন্দর থেকে জাপান ছেড়েছে দ্বিতীয় চালানের ছয় সেট ট্রেন। ১৬ জুনের মধ্যে মোংলা বন্দর হয়ে উত্তরার ডিপোতে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, প্যাকেজ-৮ এর আওতায় রেল কোচ (রোলিং স্টক ও ডিপো ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহের কাজ চলমান। জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি কনসোর্টিয়ামকে ২৪ সেট ট্রেন নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। চলমান করোনা সংকটেও বিশেষ উদ্যোগে থার্ড পার্টি ইন্সপেকশনের মাধ্যমে প্রথম মেট্রো ট্রেনসেট দেশে পৌঁছে গেছে।

দুই পাশে দু’টি ইঞ্জিন আর চারটি কোচের সমন্বয়ে ট্রেনের সেটগুলো তৈরি হচ্ছে জাপানে। এরই মধ্যে প্রস্তুত হয়েছে পাঁচ সেট ট্রেন, যার প্রথমটি দেশে এসে পৌঁছেছে। দ্বিতীয় সেট জাপান থেকে  রওয়ানা হয়েছে। সেটি পৌঁছাতে পারে আগামী ১৬ জুন।

তৃতীয় এবং চতুর্থ মেট্রো ট্রেনসেটের শিপমেন্টের সম্ভাব্য তারিখ ২০২১ সালের ১১ জুন এবং বাংলাদেশে পৌঁছানোর সম্ভাব্য তারিখ ২০২১ সালের ১৩ আগস্ট। ৫ম ট্রেন সেট বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর পর্যায়ক্রমে ইনটিগ্রেটেডে টেস্ট শুরু হবে। এর পরে শুরু হবে ট্রায়াল রান। এ প্যাকেজের বাস্তব অগ্রগতি ৪০ দশমিক ৯৮ শতাংশ।

প্রজেক্ট ম্যানেজার-সিপি-৮ (উপ-সচিব) এবিএম আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় মেট্রো ট্রেনসেট জাপান থেকে বাংলাদেশের পথে রওয়ানা হয়েছে। আশা করছি ১৬ জুনের মধ্যেই এগুলো দিয়াবাড়ির ডিপোতে পৌঁছাবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫শ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দ ‘টি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা। জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তাব্যবস্থা সম্বলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্টকার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা।

মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা নেওয়া করতে সক্ষম হবে। কারণ অধিকাংশ মানুষ বসার চেয়ে দাঁড়িয়ে ভ্রমণে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে বলে দাবি করছে ডিএমটিসিএল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad